ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় ২০২১

ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় ২০২১

সময়ের সাথে সাথে জনসংখ্যার অত্যাধিক বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থানের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।

Earn Money Online

যেই হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই হারে কর্মসংস্থানের পরিমাণ বাড়ছে না। ফলে দেখা দিচ্ছে বেকারত্ব। প্রথমআলোর এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছেঃ

"বাংলাদেশে সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ হয়েছে ২০১৭ সালে। সেই জরিপ অনুযায়ী, দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ৬ কোটি ৩৫ লাখ। আর তাঁদের মধ্যে কাজ করেন ৬ কোটি ৮ লাখ নারী-পুরুষ। দুই সংখ্যার মধ্যে বিয়োগ দিলেই পাওয়া যায় বেকারের সংখ্যা। আর সেটি হলো ২৭ লাখ। আর শতাংশ হিসাবে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ।"


যতই অবিশ্বাস্য লাগুক, বেকারত্বের হারের পরিস্থিতি আমাদের দেশে এমনই। আবার কোভিড-১৯–এর কারণে অর্থনীতি বিপর্যস্ত।


গত মার্চের শেষ দিক থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর অর্থনীতি কার্যত অচল হয়ে গেলে বহু মানুষ কাজ হারান। অর্থনীতি আবার সচল হলেও অনেকেই কাজ ফিরে পাননি। তারপরেও সরকারি হিসাবে বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখই থাকবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আবার যখন শ্রমশক্তি জরিপ করবে, তখনই জানা যাবে নতুন তথ্য।


অর্থাৎ কভিড-১৯ মহামারির কারণে আমাদের দেশের বেকারত্বপর হার পূর্বের তুলনায় ৭-৮ গুণ বেড়ে গেছে। তাহলে এখন প্রশ্ন হলো এমন মানুষ কি করবে? কিভাবে তারা তাদের সংসার চালাবে? কিভাবে তারা একটা সুস্থ সুন্দর জীবন-যাপন করবে?


আবার কভিড-১৯ এর কারণে বিভিন্ন পণ্যের দামও উর্ধমুখী।


আর এ সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে মানুষ এখন ছুটছে বিভিন্ন অনলাইন কাজের পিছে।


আর তাছাড়াও যদি ঘরে বসেই ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যায় তবে বিষয়টি মন্দ কোথায়। কি তাই না?


কিন্তু প্রশ্ন হলো কিভাবে আমরা ঘরে বসে আয় করতে পারব?


আপনাদের এই সমস্যার সমাধানের জন্য আজ আমরা নিয়ে এসেছি ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায়। এখানে আজ আমি আপনাদের একটি না, দুটি না, মোট সাতটি উপায় দেখাব। যার সাহায্যে আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।


তাহলে চলুন পোস্টটি শুরু করা যাক।



অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায় ২০২১

বর্তমানে আয়ের একটি বড় অংশ আসে অনলাইন থেকে। আমাদের সমাজের সকল শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা এখন কাজের জন্য ছুটছে ইন্টারনেটে।


পূর্বে যেমন কেউ পড়া শেষ করে তার মাথায় সর্বপ্রথম খেয়াল আসতো কিভাবে একটি সরকারি চাকরি পাব, যদি সরকারি চাকরি না পাই তবে যেন একটি ভালো বেসরকারি চাকরি পেয়ে যাই।


কি তাই না?


কিন্তু আজকের তরুণ-তরুণীরা এখন শুরু সরকারি-বেসরকারী চাকরির পেছনে ছুটি না। এখন তারা তাদের আয়ের জন্য ইন্টারনেটকে ব্যবহার করা শিখে গেছে।


এছাড়াও এমন অনেক তরুণ-তরুণীদের দেখবেন যারা পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের হাত খরচের জন্য অনলাইনে আয় করছে। যার ফলে তারা ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারছে।


এছাড়াও অনলাইনে কাজ করে আয় করার একটি বড় সুবিধা হলো আপনি চাইলে কোন চাকরি করার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব হিসেবে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।


এসব করণেই অনলাইনে কাজ এতো বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।


আজকাল ফেসবুকে ঢুকলেই  অনেকেই প্রশ্ন করে কিভাবে অনালাইন  আয় করা যায়? কিভাবে ঘরে বসে সহজে টাকা আয় করা যায়? কিভাবে সহজে অনলাইনে কাজ পাওয়া যায়? কিভাবে মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে আয় করা যায়?


আবার অনেকেই বলে ভাই আমি কিভাবে ফ্রিলান্সিং শুরু করবো ? আমি তো নতুন আমি  ফ্রিলান্সিং এর কোন কাজটি আগে শিখবো। কোন কাজের চাহিদা বেশী? কোথায় থেকে কাজ শিখবো ? ফ্রিলান্সিং বা আউটসোর্সিং কি ?


তো সবার কথা বিবেচনা করে আজকে আমি অনলাইন থেকে আয় করার উপর একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন দেবার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।


অনলাইনে ইনকাম ২০২১। শুরুতেই  বলে নিচ্ছি আজকের আর্টিকেলটা অনেক বড় হবে । কাজেই খুব সময় নিয়ে ধৈর্য্যসহকারে পড়তে হবে। আর আমি ১০০% গ্যারান্টি দিতে পারি আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে ফ্রিলান্সিং নিয়ে আপনার আর কোন প্রশ্ন থাকবে না। আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার এখন কি করা উচিত, কিভাবে সামনে আগানো উচিত।


অনলাইনে আয়ের উপায়

ব্লগিং, ইউটিউব, ফ্রিল্যান্সিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং ও ই-কমার্স হচ্ছে অনলাইন আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং অনেক কার্যকরী পদ্ধতি।


যদি আপনার লেখালেখি করার আগ্রহ থাকে এবং আপনি যেকোনো বিষয় নিয়ে অনেক রিসার্চ করতে ভালোবাসেন তাহলে ব্লগিং আপনার জন্যই। ব্লগিং করে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।


আপনি যদি ব্লগিং করার মাধ্যমে অনলাইন হতে ইনকাম করতে চান তাহলে আমি একটি কিভাবে ব্লগিং শুরু করতে হয় এ নিয়ে ডিটেইল পোস্ট লিখেছি। আপনি ঐ পোস্টটি পড়তে পারেন।


অথবা আপনার রিসার্চ করা ও কোনো বিষয়ে দক্ষতা থাকার থাকার পাশাপাশি যদি উপস্থাপন করার যোগ্যতা থাকে তবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে অনলাইন হতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ নিয়েও আমাদের ডিটেইল পোস্ট আছে।


তাছাড়াও আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ, জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা আছে সে বিষয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করেও অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।


এছাড়াও অনলাইনে ইনকাম করার আরো অনেক পদ্ধতি আছে, যা নিয়ে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব।


যদি আপনি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় খুঁজে থাকেন তবে এই পোস্টটি আপনার জন্যই।


বর্তমানে আমাদের দেশের অসংখ্য লোক অনলাইনে ইনকাম করছেন। সে জন্য নতুনরা অনুপ্রাণিত হয়ে অনলাইন ইনকাম করার চেষ্টা করছে।


আবার কেউ কেউ অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট থেকে করে সহজে পেমেন্ট পেতে চাইছেন। আজকে আমরা অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবো।


অনলাইনে ইনকাম করার জন্য কী কী প্রয়োজন?

অনলাইনে ইনকাম করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার কাছে কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা থাকা লাগবে।


এরপর আেনি আপনার দক্ষতা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সাহায্যে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। আর ঘরে বসে কাজ করতে হলে একটা ইন্টারনেট কানেকশন লাগবেই!


তবে আপনার কাছে যদি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না থাকে তবে অনলাইন আয়ের জন্য আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতে পারবেন এবং ভালো পরিমাণে অর্থোপার্জন করতে পারবেন।


তবে আমি আপনাকে সাজেস্ট করব অন্তত একটা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করুন। কারণ আপনি মোবাইল ফোনের সাহায্যে সকল কাজ ভালোভাবে নাও করতে পারেন। আবার মোবাইল ফোনের সাহায্যে কাজ করলে অনেক বেশি সময়েরও প্রয়োজন হয়।


আর সর্বশেষ আপনার ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কারণ আপনি অনলাইনে কাজ করতে গেলে সেখানেও আপনাকে প্রতিযোগীডার সম্মুখীন হতে হবেই।


শুরুতি আপনার মূল উদ্দেশ্য হবে কোনো একটা বিষয় দক্ষতা অর্জন করা। একবার কোনো একটা বিষয়ে যখন আপনি দক্ষ হয়ে উঠবেন তখন আর অনলাইনে কাজ খুঁজতে আপনার তেমন একটা অসুবিধা হবে না।


আর একবার কাজ পেয়ে গেলে এবং তা সঠিক সময়ে সম্পনৃন করতে পারলে আপনার আর পিছে দিখতে হবে না। এরপর থেকে অনলাইনে আপনার ক্যারিয়ার সিরির মতো উপরে উঠতে থাকবে।


কেন বর্তমান সময়ে তরুণ-তরুণীদের অনলাইন কাজ করা উচিৎ

বর্তমানে সমাজের যুবক-যুবতীরা তাদের নূল্যাবান সময়ের অধিকাংশ সময়ই ব্যায় করছে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি বিভিন্ন সোসাইল মিডিয়া সাইটগুলোতে।


কি তাই না?


আপনি নিজেই ভেবে দেখুন আপনার ফ্রেন্ড জোনে ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সোসাইল মিডিয়া ব্যবহার করে না এমন কে আছে।


এতে তারা তাদের মূল্যবান সময়ের অপচয় করছে। এর বদলে সে যদি অনলাইন কাজ করে তবে যেমন সে কিছু টাকা আয় করতে পারবে তার সাথে সাথে সে অবেক দক্ষতাও অর্জন করতে পারবে। যা পরবর্তীতে তাকে আরো কর্মঠ করে তুলবে।


এছাড়াও বর্তময়ন সময়ে তরুণ-তরুণীদের হাত খরচের জন্য কিছু টাকার প্রয়োজন হয়, যাতে তারা তাদের সখ পূরণ করতে পারে। এরজন্য তারা তাদের বাবা-মায়ের কাছে টাকা চয়।


যার বাবা-মার যথেষ্ট টাকা আছে সে তো টাকা পেয়ে যায়। কিন্তু যে গরিব পরিবারের ছেলে সে তা পায় না। এছাড়াও বার বার টাকা চাওয়াটাও একটা সমস্যা


কিন্তু যদি আপনি নিজে টাকা কামান তবে আর এই অল্প কিছু টাকার জন্য বারবার আপনাকে আপনার বাবা-মা কাছে চাইতে হবে না। আপনি নিজেই নিজের হাত খরচের টাকা বের করতে পারবেন।


তাই সকল তরুণ-তরুণীদের তাদের সময় অযথা সোসাইল মিডিয়া সাইটগুলোতে ব্যয় না করে অনলাইনে আয় করা উচিৎ।


অনলাইনে আয় করা কি সত্যিই সম্ভব

হ্যাঁ।


এর সহজ উত্তর হলো আপনি যদি কোনো বিষয় সম্পর্কে জানেন অথবয় আপনার দক্ষতা থাকে তবে আপনি খুব সহজেই সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।


আমার অনেক পরিচিত লোক রয়েছে যারা অনলাইন হতে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। আবার এমনো কিছু পরিচিত ব্যক্তি আছে যারা অনলাইনে ইনকাম করে তাদের পরিবারেরে ভরণ পোষণসহ বিলাসিতার জীবন যাপন করছে।


তাই আপনিও যদি ঘরে বসেই আয় করতে চান তবে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।



অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২১

এখন আমি আপনাদের সাথে অনলাইনে আয় করার কয়েকটি নিশ্চিত উপায় শেয়ার যার সাহায্যে আপনি ঘরে বসেই ভালো পরিমাণে অর্থোপার্জন করতে পারবেন। আশাকরি আপনি ধৈর্য্যসহকারপ ২/৪ মাস কাজ করলে আপনিও মাসে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।


অনলাইনে কাজ শুরুর দিকে আপনার কাছে বিষয়টি কঠিন মনে হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে আপনার কাছে সহজে হয়ে উঠবে। আপনি একটি জিনিস মনে রাখবেন, কেউ একদিনে বড় হয়নি, বড় হওয়ার জন্য সময় দিতে হয় এবং ধৈর্য্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে হয়।


তাই অনলাইন কাজে সফলতা পেতে হলে আপনাকে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে এবং নিজের কাজ সঠিকভাবে চালিয়ে যেতে হবে।


(১) ব্লগিং করে আয়

বর্তমান সময়ে অনলাইনে ইনকাম করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল ব্লগিং। আপনার যদি লেখালেখি করার অভ্যাস থাকে এবং আপনি অনেক ভাল পরিমাণের আর্টিকেল লিখতে পারেন তবে আপনার অনলাইন ইনকামের জন্য একটি মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে ব্লগিং। 


আর যারা ব্লগিং করে তাদেরকে বলা হয় ব্লগার। আপনি যদি কোন একটি বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তবে খুব সহজেই ব্লগিং করে আপনি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 


আমার এমন অনেক পরিচিত লোক আছে যারা ব্লগিং করে এখন মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। 


তবে আমাদের মধ্যে একটা ভুল ধারনা আছে যে ওয়েবসাইট শুরু করলেই তার থেকে টাকা চলে আসবে। কিন্তু আসলে বিষয়টা এমন নয়। 


ব্লগিং করে টাকা আয় করতে হলে সর্বপ্রথম আপনার ব্লগে হাই-কোয়ালিটির কনটেন্ট লিখতে হবে। এবং যখন লোকেরা আপনার এ কনটেন্ট পড়তে আসবে এবং আপনার ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়বে তখন আপনি তার থেকে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন। 


যারা ব্লগিং করে তাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অন্যের ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট কপি করে নিজের ওয়েবসাইটে পোস্ট করে। 


কিন্তু আপনি এভাবে ব্লগে সফলতা পাবেন না। কারণ কপি করা কন্টাক্ট গুগোল কখনো রিঙ্কি করবেনা এবং এতে আপনি কোন ট্রাফিক ও পাবেন না। 


আর যেকোনো নতুন ব্লগারের ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফল না হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো যে তারা পরিশ্রম করতে চায় না, তারা অন্যের ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট কপি করে এবং নিজের ওয়েবসাইটে পোস্ট করে। 


ফলে গুগল তাদের কন্টেন্টগুলো ইন্ডেক্স -ই করে না আবার যদি ইন্ডেক্স করে তবে তা র‍্যাংক করে না, ফলে তারা কোন প্রকার ট্রাফিক পায় না এবং তারা কোনো প্রকার ইনকামও করতে পারে না। 


যার কারনে তারা মনে করে ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করা যায় না। তাই আমি আপনাদের সাজেস্ট করব ব্লগিং করতে হলে আপনি কোন একটি বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। এরপর সে বিষয়ে আপনি আপনার ব্লগে লেখালেখি করুন, এতে গুগল আপনাকে ট্রাস্ট করবে এবং আপনার পোস্টগুলো র‍্যাংক করাবে ফলে আপনি সহজেই ব্লগিং এ সফলতা পাবেন।


কিভাবে ব্লগিং শুরু করতে হয় এ নিয়ে আমাদের একটি বিস্তারিত পোস্ট রয়েছে। আপনি চাইলে সে পোস্টটি পড়তে পারেন। এই পোস্টটিতে ব্লগিং নিয়ে সকল বিষয় অনেক বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। 


এখানে তাই আমি ব্লগিং করে কিভাবে আয় করতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে বলবো না। শুধু সংক্ষেপে আলোচনা করে যাব, যদি আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে চান তবে ওই পোস্টটি পড়ে আসুন। 


কিভাবে ব্লগ তৈরি করবো?

ব্লগ তৈরি করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। আপনি যদি প্রোগ্রামিং জানেন তবে খুব সহজেই সেই প্রোগ্রামিং নলেজকে কাজে লাগিয়ে একটি ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। 


কিন্তু আপনি যদি প্রোগ্রামিং না জানেন তবুও আপনার চিন্তা করার দরকার নেই। কারণ বর্তমানে এমন অনেক ধরনের সিএমএস চলে এসেছে যার সাহায্যে আপনি অল্প কিছু ক্লিকের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে দাঁড় করাতে পারবেন। 


এরকমই দুটি জনপ্রিয় সিএমএস হলো গুগল ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস।


আপনি যদি ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে পারেন তবে আমি আপনাকে সাজেস্ট করবো আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের সাথেই যান। 


তবে এখন যদি আপনার কাছে ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার টাকা না থাকে তবে আপনি গুগল ব্লগারের সাথে ব্লগ শুরু করতে পারেন। 


ব্লগার আপনাকে ফ্রিতে ডোমেইন ও হোস্টিং দেয়। এটা যেহেতু গুগলের প্রোডাক্ট তাই এর সিকিউরিটি নিয়ে আপনার চিন্তা করার দরকার নেই এর সকল সিকিউরিটি গুগল নিজেই দেখবে। 


তবে আপনি যদি ব্লগারের সাথে আপনার ব্লগ শুরু করেন, তবে আমি আপনাকে সাজেস্ট করব যে আপনি অন্ততপক্ষে একটি ডোমেইন কিনে নিন। কারণ ডোমেইনই আপনার ওয়েবসাইটের পরিচয় ধারণ করবে। তাই আপনার কাছে অবশ্য একটি ভালো ডোমেইন থাকা দরকার। 


গুগল আপনাকে যে ডোমেইন দেয় তা হচ্ছে একটি সাবডোমেন এবং তা হলো .blogspot.com। আপনি যদি ব্লগিংকে গুরুত্বসহকারে শুরু করতে চান তবে আপনি .com বা .net ডোমেইনের সাথেই যান। আপনি .com / .net ডোমেইন খুব সহজে ও কাম দামে DianaHost থেকে কিনতে পারেন।


ডোমেইন কিনার পর আপনি তা ব্লগারের সাথে কানেক্ট করুন। যদি ব্লগারের সাথে কানেক্ট করতে কোনো সমস্যা হয় তবে আপনি কমেন্ট করতে পারেন। আপনার সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।


ডোমেইন ব্লগারের সাথে কানেক্ট করার পর আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে সেটআপ করুন। কোনো একটা ভালো template ব্যবহার করুন এবং একে ভালোভাবে কাস্টমাইজ করুন।


আর আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন তবে সর্বপ্রথম আপনার ডোমেইনকে হোস্টিং এর সাথে লিংক করুন।


এরপর আপনার হোস্টিং সার্ভারের উপর ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করুন। ইন্সটল হয়ে গেলে আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে ভালো একটা theme ব্যবহার করেন এবং একে কাস্টমাইজ করুন।


অভিনন্দন! আপনি আপনার প্রথম ব্লগ তৈরি করে ফেলেছে। এবার আপনি আপনার ব্লগে ভালো কন্টেন্ট পাবলিশ করা শুরু করুন।


গুগল ধীরে ধীরে আপনার ব্লগের উপর ট্রাস্ট করতে শুরু করবে এবং আপনার ওয়েবসাইটকে উপরে র‍্যাংক করাবে।


ফলে ধীরে ধীরে আপনি আপনার ব্লগে ট্রাফিক পেতে শুরু করবেন। এবং আপনি ব্লগ থেকে আর্নিংও শুরু করতে পারবেন।


একটা কথা সবসময়ই মনে রাখবেন ব্লগিং-এ সফল হতে হলে অবশ্যই আপনার মধ্যে ধৈর্য্য থাকতে হবে।


কিভাবে কন্টেন্ট লিখব?

কিভাবে ব্লগিং শুরু করতে হয়? কিভাবে ব্লগ তৈরি করতে হয়? কিভাবে ব্লগিং করে আয় করা যায়? এ নিয়ে আপনি ইন্টারনেটে অনেক পোস্ট পেয়ে যাবেন।


কিন্তু কিভাবে ব্লগে কন্টেন্ট লিখতে হয় এ নিয়ে তেমন কেউই কথা বলে না।


আর যেকোনো নতুন ব্লগারের সবচেয়ে বড় সমস্যা এটাই যে সে কিভাবে কন্টেন্ট লিখবে। কন্টেন্ট সঠিকভাবে না লিখতে পাড়ায় তারা অন্যের ব্লগ থেকে কন্টেন্ট কপি করা শুরু করে এবং ব্লগিং ক্যারিয়ারে ব্যর্থ হয়ে পড়ে।


আর তাই আজ আমি আপনাদের শেখাব কিভাবে আপনি আপনার ব্লগে সহজে কন্টেন্ট লিখতে পারেন।


আপনি যদি আপনার ব্লগে ভালো মানের কন্টেন্ট লিখতে চান তবে অবশ্যই সে বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।


কারণ যদি আপনি সে বিষয়ে কোনো কিছু নাই যানেন তবে আপনি সে সম্পর্কে লিখবেন কিভাবে। মনে করেন আপনাকে কেউ জিজ্ঞেস করল "কিভাবে মাংস রান্না করতে হয়?"


কিন্তু আপনি কখনো রান্নাই করেন নি আর জানেনও না এর রেসিপিটা কি। তাহলে কি আপনি বলতে পারবেন।


না। পারবেন না।


ব্লগিং করতে গেলেও একই ঘটনা ঘটে।


আপনি মনে করেন হেল্থ সম্পর্কে ব্লগিং করতে চান। কারণ এতে টাকা আয়ের সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু আপনি হেল্থ রিলেটেড তেমন কিছুই জানেন না। তাহলে আপনি অন্যকে গাইড করবেন কিভাবে, কিভাবে আপনি সে সম্পর্কে লেখালেখি করবেন।


তাই আপনাকে ব্লগিং শুরু করতে হবে এমন একটা বিষয় নিয়ে যে সম্পর্কে আপনি আগে থাকেই জানেন এবং যে সম্পর্কে আপনার আগ্রহ আছে।


আবার অনেক সময় আমাদের এমন অনেক টপিক নিয়ে লিখতে হয় যা সম্পর্কে আমি জানি না। তখন আপনাকে ভালোভাবে সে বিষয়ে রিসার্চ করতে হবে। এবং যখন আপনার মনে হবে আপনি সে বিষয়ে ভালো ধারণা পেয়ে গেছেন তখন আপনি লেখা শুরু করবেন।


আর শুধু কোনো একটা বিষয় নিয়ে লিখলেই হবে না। একে আপনার পাঠকের কাছে সন্দরভাবে উপস্থাপনও করতে হবে।


যাতে সে ভালোভাবে বুঝতে পারে। এতে আপনার ব্লগে পাঠকের সংখ্যাও বাড়তে থাকবে এবং গুগলও আপনার উপর ট্রাস্ট করবে। ফলে আপনি সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 


কিভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়াব?

যেকোনো নতুন ব্লগের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এতে ট্রাফিক থাকে না। যারা ব্লগিং এ নতুন আসেন তারা প্রথম প্রথম অনেক যোসের সাথে কাজ করে।


কিন্তু ধীরে ধীরে তারা কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এবং যখন তারা দেখে তাদের ওয়েবসাইটে ভিজিটর সংখ্যা কম তখন তারা হতাশ হয়ে ব্লগিং ছেড়ে দেয়।


তাদের ব্লগিং নিয়ে মনোভাব এমন যে আজ পোস্ট লিখব, কাল থেকে আমাদের ওয়েবসাইটে লাখ ভিজিটর চলে আসবে। আর এর থেকে আমি অনেক টাকা কামাব।


আপনিও মনোভাবও যদি এমন হয় তবে ব্লগিং আপনার জন্য নয়। ব্লগিং করে সফলতা পেতে আপনাকে অন্তত পক্ষে ৭-৮ মাস প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে হবে।


এবং একটা কথা ব্লগিং এ সবসময়ই মাথায় রাখবেন, আপনি ব্লগিং এ কথটা সফল হবেন তা নির্ভর করবে আপনি আপনার অডিয়েন্সের সাথে কতটা তথ্য শেয়ার করছেন তার উপর।


আপনি যদি কোনো একটা বিষয় সম্পর্কে অনেক ভালো হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি সে সম্পর্কে অনেক ভালো লিখতে পারেন তবে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়।


তবে একটা কথা সবসময়ই মনে রাখবেন কেউই কোনো বিষয়ে সর্বোত্তম হতে পারে না। তাই আপনি কোনো বিষয়ে যতই জানেন না কেন তা সম্পূর্ণ নয়। আপনাকে প্রতিদিনই নতুন নতুন বিষয় শেখতে হবে এবং তা অনুশীলন করতে হবে। কথায় আছেঃ "Practice makes a man perfect"


আর তার সাথে সাথে আপনি যখন কোনো পোস্ট লিখবেন তখন এর অন-পেজ এসইও ভালোভাবে করবেন।


এবং তারই সাথে সাথে এর অফপেজ এসইও -এর দিকেও খেয়াল রাখবেন। ফলে গুগল আপনার ব্লগ সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবে এবং আপনার কন্টেন্টকে উপরে র‍্যাংক করবে।


এতে সহজেই আপনার ব্লগে ট্রাফিক বাড়তে থাকবে!


কিভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করা যায়?

ব্লগিং করে আয় করার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। তবে যদি আপনার কন্টেন্ট মানসম্মত না হয় তবে আপনি কোনো আয় করতে পারবেন না।


তাই ব্লগিং থেকে আয় করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার নিজের অভিজ্ঞতা সে বিষয়ে বাড়াতে হবে। যদি আপনি কোনো বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠেন এবং তা আপনার লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারেন তবেই আপনি ব্লগিং তেকে আয় করতে পারবেন।


তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্লগিং থেকে আয় করা উপায় সমূহঃ

  • গুগল এডসেন্স
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • প্রডাক্ট বিক্রি
  • স্পনস সিপ
  • ব্যাকলিংক ও গেস্টপোস্ট বিক্রি
  • ব্লগ বিক্রি

এবার চলুন এ বিষয়গুলো নিয়ে একে একে আলোচনা করা যাক।


১. গুগল এডসেন্স 

গুগল এডসেন্স হলো গুগলের একটি এডভারটাইজমেন্ট প্রোগ্রাম। যার সাহায্যে আপনি আপনি ব্লগি এডস দেখিয়ে আয় করতে পারবেন।


আমরা যখন টেলিভিশনে কোনো প্রোগ্রাম দেখি তখন যেমন প্রোগ্রামের মাঝে আমাদের এডভারটাইজামেন্ট দেখানো হয়, ঠিক তেমনি আমরা আমাদের ব্লগে এডস দেখিয়ে আয় করতে পারি।


গুগল এডসেন্সের এডস আমাদের ওয়েবসাইটে দেখানোর জন্য সর্বপ্রথম আমাদের ব্লগ গুগলের সকল পলিসি মেনে চলতে হবে।


আমাদের ব্লগে এডস াদেখানোর জন্য সর্বপ্রথম আমাদের ব্লগে ২০-৩০ টি হাই কোয়ালিটির কন্টেন্ট লিখতে হবে। এবং অবশ্যই আমাদের ব্লগের বয়স ১ মাসের অধিক হতে হবে।


এরপর আপনি আপনার ব্লগে গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।


গুগল এডসেন্সের টিম আমরা ব্লগ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করবে। যদি আপনার ব্লগে সব ঠিক থাকে তবে ১-২ সপ্তাহের মধ্যে তারা জানিয়ে দেবে আপনি এডসেন্সের এপ্রোভাল পেয়ে গেছেন। 


এরপর আপনি খুব সহজেই আপনার ব্লগে এডসেন্সের এডস লাগাতে পারবেন। যখন কেউ আপনার ব্লগ ভিজিট করবে তখন এডসেন্স তাকে এডস দেখাবে।


এবং সেই এডসের উপর ভিউ ও ক্লিকের উপর ভিত্তি করে এডসেন্স আপনাকে টাকা দেবে। যখন আপনার এডসেন্স একাউন্টে $১০ পূর্ণ হবে তখন এডসেন্স আপনার ঠিকানায় একটা চিঠি পাঠাবে।


সেই চিঠিতে আপনার এডসেন্স একাউন্টের ভেরিফিকেশন কোড থাকবে। আপনি একবার সেই কোড দিয়ে দিলে আপনার এডসেন্স একাউন্ট সম্পর্ণভাবে ভেরিফাই হয়ে যাবে।


এরপর যখন আপনার এডসেন্স একাউন্টে $১০০ পূর্ণ হবে তখন আেনি আপনার এডসেন্স একাউন্ট থেকে তা আপনার ব্যাংক একাউন্টে নিতে পারবেন।


$১০০ পূর্ণ হলে গুগল এডসেন্স প্রতিমাসের ২১ তারিখ তারা টাকা রিলিজ করে দেয় এবং আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্টে সেই টাকা পেয়ে যাবেন।


২. এফিলিয়েট মার্কেটিং

ব্লগিং করে আয় করার বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধঅমগুলোর মধ্যে একটি হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং।


বর্তমান সময় যখন ইন্টারনেটের ব্যবহার এতো বেড়ে গিয়েছে, তা দেখে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্য অনলাইনে বিক্রি শুরু করেছে। যাকে ই-কমার্স বলা হয়।


আর এটি ব্লগারদের জন্য অর্থ উপার্জনের খুবই বড় একটা সুযোগ। কারণ যাতে এই কোম্পানির পণ্য অনেক বিশি বিক্রি হয়, একথা চিন্তা করে অনেক কোম্পানিই তাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম বের করেছে।


এই প্রোগ্রামের সাহায্যে যেকেউ খুব সহজেই ঐ কোম্পানির কোনো একটা পণ্য নিয়ে প্রমোট করতে পারবে।


এবং যদি এতে কোনো কিছু পণ্য বিক্রি করতে পারে তবে এর কিছু অংশ কমিশন হিসেবে পাবে। ঠিক যেমন আমরা আজকাল দেখি অনেক লোক আমাদের কাছে এসে তাদের পণ্যের প্রচার করে এবং তা বিক্রি হলে এর কিছু অংশ সে কমিশন পায় ঠিক সেইরকম।


আপনি যদি ব্লগিং করেন তবে আপনি যেকোনো একটা ই-কমার্স স্টোরের এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন হতে পারেন।


এরপর যেকোনো একটা প্রোডাক্ট উঠিয়ে তা নিয়ে আপনি ভালো কন্টেন্ট লিখে পাবলিশ করবেন। যখন কেউ আপনার ব্লগে এসে সেই পোস্ট পড়ে পণ্যটি কিনে তবে আপনি এর কিছু অংশ কমিশন পাবেন।


আপনি যদি গুগল এডসেন্স ও এফিলিয়েট মার্কেটিং এর আর্নিং তুলনা করেন তবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাহায্যে গুগল এডসেন্সের তুলনায় ৫ থেকে ৭ গুণ বেশি আয় করতে পারবেন।


৩. প্রোডাক্ট বিক্রি

আপনি ব্লগিং করে এফিলিয়েট মার্কেটিংয় করে শুধু অন্যের প্রোডাক্টই বিক্রি করতে পাবেন না, আপনি চাইলে আপনার নিজের প্রোডাক্টও বিক্রি করতে পারবেন।


ব্লগিং করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো আপনার ইউজারের প্রয়োজন মেটানো। এখন এই প্রয়োজন বিভিন্ন রকম হতে পারে।


যদি আপনার ইউজার কোনো কিছু জানতে চায় এবং আপনি আপনার ব্লগের সাহায্যে তার জানার ইচ্ছা মিটাচ্ছেন তাহলে এটাও আপনার ইউজারের প্রয়োজন মেটানো হলো।


আবার আপনি চাইলে আপনার ইউজারের সাথে কোনো পণ্য সম্পর্কেও তথ্য প্রদান করতে পারেন।


বর্তমানের এই ইন্টারনেটের যুগে এসে সকলে এখন বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তু আমরা ইন্টারনেটেই কিনে থাকি।


তাই যদি আপনার কাছে কোনো পণ্য থাকে তবে আপনি আপনার ব্লগের সাহায্যে সেই পণ্য সম্পর্কে লোকেদের অবগত করাতে পারবেন।


৩. স্পন্সর সিপ

স্পন্সর সিপের সাহায্যে ইনকাম করতে চাইলে আপনার ব্লগ অবশ্যই কিছুটা পুরনো হতে হবে। এবং আপনার ব্লগে ভালো পরিমাণে ট্রাফিক থাকতে হবে।


যদি আপনি এই ব্লগিং ফিল্ডে অনেক দিন যাবত কাজ করেন এবং আপনার ব্লগে পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রাফিক থাকে তবে বিভিন্ন কোম্পানি সরাসরি আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তাদের পণ্য প্রমোট করানোর জন্য।


তখন আপনি তাদের পণ্য সম্পর্কে আপনার ব্লগে কন্টেন্ট লিখে পাবলিশ করবেন। এবং এর বিনিময়ে আপনি তাদের থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পেয়ে যাবেন।


স্পন্সর সিপের একটা বড় সুবিধা হলো গুগল এডসেন্স ও এফিলিয়েট মার্কেটিং এ যেমন কেউ এডস দেখলে বা কোনো পণ্য ক্রয় করলে আমরা টাকা পাই, স্পন্সর সিপে কিন্তু বিষয়টা এমন না।


কেউ যখন আপনার কাছে স্পন্সর সিপ নিয়ে আসবে তখন আপনি তার সেই পণ্য সম্পর্কে কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন। এবং এর বিনিময়ে সেই কোম্পানি আপনাকে টাকা দেবে।


এখন এই কন্টেন্ট থেকে তাদের কোনো পণ্য বিক্রি হলো নাকি না তা দেখার বিষয় আপনার নয়। আপনি আপনার মতো টাকা পেয়ে যাবেন।


তবে এর জন্য অবশ্যই আপনার কাছে ভালো কন্টেন্ট এবং যথেষ্ট ট্রাফিক থাকতে হবে। আপনি একট স্পন্সর সিপ থেকে ২০,০০০ টাকা থেকে ২ লাখ ৩ লাখ টাকা কামাতে পাবেন।


৪. ব্যাকলিংক ও গেস্টপোস্ট বিক্রি

এটিও নতুন ব্লগারদের জন্য নয়।


আপনার জাছে যদি একটি এক - দেড় বছর পুরনো কোনো ব্লগ থাকে এবং এতে ভালো পরিমাণে ট্রাফিক থাকে তবে আপনি আপনার ব্লগে লিংক বিক্রি ও গেস্ট পোস্ট নিয়ে আয়আকরতে পারেন।


বর্তমানে আপনি ইন্টারনেটে যে বিষয় নিয়েই খুঁজুন না কেন, এর অনেক সমাধান পেয়ে যাবেন। তাই যখন কেউ কোনো ব্লগ খুলে তখন সে সহজে গুগলে উপরের পজিশনে র‍্যাংক করতে পারে না।


কারণ গুগল আগে থেকেই তার কাছে থাকা অন্যান্য কন্টেন্টকে র‍্যাংক করাচ্ছে। তাই অনেকেই গুগলে ধ্রুত র‍্যাংক করার জন্য অনেক পদ্ধতি ব্যবহার করছে।


এরকমই একটি পদ্ধতি হলো ব্যাকলিংক ও গেস্টপোস্ট। আপনি যদি ব্যাকলিংক সম্পর্কে না জানেন তবে আমাদের ব্লগিং নিয়ে লেখা পোস্ট পড়ুন। সেখানে ব্যাকলিংক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।


এখানে আমি আপনাকে সংক্ষেপে ব্যাকলিংক সম্পর্কে জানাচ্ছি।


ব্যাকলিংককে যদি আমি এক কথায় বলতে যাই তবে ব্যাকলিংক হলো আপনার ব্লগের লিংক অন্যের ব্লগে থাকা।


গুগলের স্পাইডার প্রতিনিয়তই ইন্টারনেটে ঘোরে। যখন সে কোনো ব্লগে একটা লিংক পায় তবে সে সেই লিংকের সাহায্যে অন্য ব্লগে প্রবেশ করে।


তাই অনেকেই তার ব্লগকে র‍্যাংক করানোর জন্য বড় বড় ব্লগ থেকে তার ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করে অথবা গেস্টপোস্ট লিখে এর মাঝে তার ব্লগের লিংক দিয়ে দেয়। এবং এর জন্য সে অনেক টাকা পে করে।


তাই আপনার ব্লগও যদি বড় হয়, এতে অনেক ট্রাফিক থাকে তবে অন্যান্য ব্লগাররা আপনার ব্লগে ব্যাকলিংক তৈরি করার জন্য ও গেস্টপোস্ট করার জন্য অনেক টাকা দিবে। এবং এতে আপনার কোনো পরিশ্রমেরও প্রয়োজন নেই।


৫. ব্লগ বিক্রি

আপনি যদি একটি ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে পারেন তাহলে সেই ব্লগ বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


কারণ একটি জনপ্রিয় ব্লগের চাহিদা অনলাইনে প্রচুর পরিমানে রয়েছে। তবে আপনার ব্লগের মূল্য কত টাকা হবে সেটা আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তার উপর ডিপেন্ড করবে।


সাধারণত একটি ব্লগ বিক্রি করে নরমালি ৩-৪ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। আর যদি প্রচুর জনপ্রিয় ব্লগ হয় তাহলে কয়েক মিলিয়ন ইনকাম করা সম্ভব।


(২) ইউটিউব থেকে আয়

ঘরে বসে অনলাইনে ইমকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ইউটিউব।


আপনি যদি ভিডিও তৈরি করতে পছন্দ করেন এবং আপনি ভিডিওর মাধ্যমে কারো সমস্যার সমাধান দিতে পারেন তবে ইউটিউবিং আপনার জন্যই। ইউটিউবে আপনি ভুডিও তৈরি করে খুব সহজেই অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।


ইউটিউবে অডিয়েন্স পেতেও আপনার তেমন একটা অসুবিধা হবে না। পৃথিবীর ১০টি বড় ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি হলো ইউটিউব। এবং ইউটিউব হলো পৃথিবীর দ্বিতীয় সার্চ ইঞ্জিন।


বর্তমানে মানুষ যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য ইউটিউবে প্রচুর সার্চ করে। ফলে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।


তাই আপনি যদি ইউটিউবের সাহায্যে ঘরে বসে আয় করতে চান তবে তা খুব সহজেই করতে পারেন।


তবে আপনি যার সাহায্যেই ইনকাম করতে চান না কেন, একটা কথা সবসময়ই মনে রাখবেনঃ

"Content is King"


অর্থাৎ আপনার কন্টেন্টই ঠিক করবে আপনি সফল হতে পারবেন কিনা। আপনি যদি অনেক ভালো কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন এবং আপনার সাবস্ক্রাইবার তা পছন্দ করে তবে ইউটিউবে সফলতা পেতে আপনাকে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।


তাহলে চলুন এবার দেখা যাক কিভাবে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন।


কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলব?

আপনি যদি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ঘরে বসে টাকা আয় করতে চান তবে সর্বপ্রথম আপনার কাছে একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে।


ইউটিউব চ্যানেল খুল খুবই সহজ কাজ। আপনি খুব সহজেই একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন।


সর্বপ্রথম আপবার কাছে একটি ইমেইল আইডি থাকতে হবে। যা বর্তমান সময় প্রায় সবার কাছেই থাকে।


আপনি যখন আপনার ইমেইল আইডি দিয়ে ইউটিউবে লগইন করবেন, অটোমেটিক আপবার একটি পারশোনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলে যাবে।


আপনি খুব সহজেই এই চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে আপনার ইউটিউব ক্যারিয়া শুরু করতে পারেন।


তবে যদি আপনার কয়েকজন মিলে একটা চ্যানেলে কাজ করতে চান তবে তা আপনি আপনার পারশোনাল ইউটিউব চ্যানেলে করতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে ইউটিউবে ব্র্যান্ড একাউন্ট খুলতে হবে।


ইউটিউবে ব্র্যান্ড একাউন্ট খোলার জন্য সর্বপ্রথম আপনি ইউটিউবের লগইন পেজে যান। এরপর আপনি "Create A Channel" এ ক্লিক করুন। এবার আপনি আপনার চ্যানেলের নাম লিখুন। ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল আপনার ইউটিউব ব্র্যান্ড একাউন্ট।


এবার আপনি আপনার ইউটিউব ব্র্যান্ড একাউন্টে অনেক ইউজার যুক্ত করতে পারবেন এবং একসাথে চ্যানেল চালাতে পারবেন।


ইউটিউবে অডিয়েন্স বাড়ানো ও ইউটিউব থেকে আয় অনেকটা ব্লগিংয়ের মতোই তাই এ নিয়ে আর কথা নাই বললাম। আপনি ইউটিউব থেকে যদি আয় করতে চান তবে উপরে ব্লগিং থেকে কিভাবে আয় করা যায় তা পড়ুন, ইউটিউবেও অনেকটা একই রকম।


(৩) ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

ঘরে বসে অনলাইনে অন্যাের কাজ করে তা থেকে অর্থ উপার্জনই হলো ফ্রিল্যান্সিং। বর্তমানে আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।


আর এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো ফ্রিল্যান্সিং এ আপনিই আপনার বস্। আপনার উপর কেউ নেই। আপনি আপনার পছন্দ মতো যেকোনো সময় কাজ করতে পারবেন।


আমরা সাধারণত যে চাকরি করি তাতে আমাদের সকাল নয়টার মধ্যে অফিসে উপস্থিত থাকতে হয়। আমাদের বস্ এসে আমাদের কাজ দিয়ে যায়, আমাদের তা সম্পন্ন করতে হয়। এরপর বিকাল ৫টায় আমরা বাড়ি ফিরে আসে।


তাই না? কি বোরিং!


এর সবচেয়ে সহজ সমাধান হলো ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে সকাল নয়টায় রেডি হয়ে অফিস যাওয়ার দরকার নেই।


আপনি যেকোনো সময় আপনার কাজ করতে পারবেন। তা সকালে হোক বা রাতে।


আবার আপনার উপর হুকুম চালানোর মতো কোনো বস্ও নিয়ে। ফলে আপনি খুব সহজে কোনো অসুবিধা ছাড়াই কাজ করতে পারবেন।


ফ্রিল্যান্সিং করলে আপনি নিজেই নিজের বস্। আপনি যখন ইচ্ছা তখন কাজ করতে পারবেন এবং তার বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।


আপনি যদি ফ্রিল্যান্সি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তবে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায় এ নিয়ে আমাদের একটি নির্দিষ্ট পোস্ট আছে আপনি এটি পড়তে পারেন। এই পোস্টে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে সকল বিষয় অনেক বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।


ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করে আপনারা আপনাদের আশপাশে এরকম অনেক লোককেই হয়তো দেখে থাকবেন৷


আপনারা আমার লেখাটি যারা যারা পড়ছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তাে আগে থেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করেন৷


ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ট্রান্সলেশন, কন্টেন্ট রাইটিং, প্রােগ্রামিং এসবই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের উদাহরণ।


এই কাজ গুলি ভালাে করে শিখে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করে অনলাইন আয় করতে পারবেন।


আমি আপনাদেরকপ এখানে ফ্রিলান্সিং সম্পর্কে কিছু বেসিক ধারণা দিব এবং কিছু টিপস্ দেব এতে আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অবগত নন তাদের উপকার হবার পাশা যারা আগে থেকেই জানেন তারাও নতুন কিছু শিখতে পারবেন।


যারা একদমই নতুন এবং আমার লেখা পড়ে যারা চিন্তা করছেন যে তারা ফ্রিল্যান্সার হবেন তাদের মনে অনেক প্রশ্নই ঘুরকাপ খাচ্ছে।


কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব? কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য একাউন্ট তৈরি করব? কিভাবে কাজ খুঁজে পাব? কিভাবে আা করব? কিভাবে আমার আয় করা টাকা হাতে পাব? আরো কত কি


কি? তাই না?


আপনাদের চিন্তা করা প্রয়োজন নেই। এই সকল প্রশ্নের উত্তর আপনি এখানে পেয়ে যাবেন। যাতে করে সহজেই আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।


কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব

এখনো আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বেড়ে উঠতে পারে নি। ফলে এখনো আমাদের মধ্যে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং কি তাই ঠিকমতো জানেন না।


ফলে নতুন নতুন যারাবফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাদের সামনে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এরকমই একটা সমস্যা হলো কিভাবে আমরা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারি।


আপনি যদি একাডেমিক ভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে আপনাকে আমি কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এসব ডিপার্টমেন্ট এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পরামর্শ দিব।


যার ফলে আপনি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সম্পর্কে অনেক ভালো ধারণা পেয়ে যাবেন। ফলে আপনাদের ফ্রিল্যান্সিং আর আলাদা করে শেখার কোনো প্রয়োজন হবে না।


তবে আপনি যদি অন্য ডিপার্টমেন্ট নিয়ে পড়ে থাকেন তবেও আপনার চিন্তা করার দরকার নেই।


বর্তমানে আমাদের দেশে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে আপনি হাতে-কলমে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।


আবার আপনি চাই লে অনলাইনে কোর্স করেও ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। এতে করে আপনার আর কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিখতে হবে না।


চবার অনলাইন কোর্সের আরেকটা বড় সুবিধা হলো আপনি ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন এবং আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন।


এ ক্ষেত্রে আমি আপনাকে Udemy, udacity, coursera ইত্যাদি ওয়েবসাইট গুলাে সাজেস্ট করব৷ এখানে যারা ক্লাস নেন তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞ এবং ক্লাস গুলাে খুবই বাস্তবসম্মত হয়ে থাকে এবং খুবই ভালাে করে বােঝানাে হয়।


তবে আপনার কাছে যদি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শেখা বা অনলাইন কোর্স করার টাকা না থাকে তবে আপনি ইউটিউবে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।


অনেকেই হয়তো ফ্রি শব্দটি শুনে মনে করছেন 'ফ্রিতে আর কতটুকুই বা শেখাবে', আমি আপনাদের বলে দিতে চাই ইউটিউবে ফ্রিতেই আপনি অনেক ভালো করে শিখতে পারেন।


একজন বিগেইনারকে ফ্রিল্যান্সি শুরু করার সময় যা যা শেখা দরকার সবই আপনি পেয়ে যাবেন ইউটিউবে, তাও আবার সম্পূর্ণ ফ্রিতে।


এসকল পদ্ধতিতে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন


তবে আপনি কি কখনো চিন্তা করেছেন আপনি কি করবেন? অর্থাৎ আপনি কোন বিষয় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন।


ফ্রিল্যান্সিং এমন কোনো কাজ নয় যে আপনার হাতে যে কাজই আসছে আপনি করে দিবেন। আর এটা কারো পক্ষে সম্ভবও নয়।


আপনাকে সর্বপ্রথম কোনো বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে, এতে করে লোক আপনাকে আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কাজ দিবে।


কিন্তু এখানে প্রশ্ন হলো কোন কোন কাজের চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে সবচেয়ে বেশি।


কোন কাজের চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে বেশি

ফ্রিল্যান্সিং শেখার সময় আপনাকে এমন একটা বিষয় নির্ণয় করতে হবে যার চাহিদা রয়েছে।


যাতে করে আপনি সহজেই কাজ পেয়ে যান। কারণ আপনি যদি এমন কোনো কাজ শেখেন যার কোনো চাহিদা নেই তবে আপনি কোনো কাজই পাবেন না।


কোন কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি তা দেখার জন্য আেনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলো ভিজিট করতে পারেন।


এবং সেখানে কোন কোন কাজ বেশি পোস্ট করা হচ্ছে তা দেখে আপনি বুঝতে পারেন এখানে কোন কাজের চাহিদা বেশি।


এবং তার উপর ভিত্তি করে আপনি সেই কাজার উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।


এর জন্য নিচে আমি আপনাকে কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্লটফর্মগুলোর লিস্ট দিচ্ছি আপনি সেখান থেকে কাজের চাহিদা দেখে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।

  1. Freelancer.com
  2. Fiver
  3. Upwork
  4. Guru

এখান থেকে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করতে পারেন।


বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে কিছু জনপ্রিয় কাজ হলোঃ

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • ট্রন্সলেশন ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং এ কিভাবে কাজ পাব

যারা একদম নতুন তাদেরকে আমি বলব আগে বাংলাদেশের বাজারে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য।

কারণ আপনি ফট করেই ফ্রিল্যান্সিং এ যদি ঢুকে পরেন এবং কাজ পেয়ে তা সম্পর্ণ না করতে পারেন তবে দীর্ঘ দিন আপনি ফ্রিল্যান্সিং চালিয়ে যেতে পারবেন না।

তাই আপনার উচিৎ কোনো একটা কাজে অভিজ্ঞতা অর্জন করা। এর জন্য আপনি বিভিন্ন সোসাইল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করতে চান তবে এ নিয়ে অনেক ফেসবুক গ্রুপ আছে, আপনি সেখানে জয়েন হতে পারেন।

এখানে অনেকেই তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরে। আপনি যদি সে সম্পর্কে জানেন তবে আপনি তাকে সাহায্য করতে পারেন। এতে আপনার অভিজ্ঞতা আরো বৃদ্ধি পাবে।


যত আপনি এরকম কাজ করবেন তত আপনি অভিজ্ঞ হয়ে উঠবেন।


ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলব

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে কোনো কাজ সম্পন্ন করেন তবে আপনার একাউন্টে এর টাকা যুক্ত হবে।

আপনি সেই টাকা পরবর্তীতে তুলতে পারেন। তবে আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যাই হলো এই টাকা তুলা।

কারণ ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তুলার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় হলো পেপাল। আর আমাদের দেশে পেপাল সাপোর্ট করে না।

যার ফলে টাকা তুলা অনেক জটিল হয়ে পরে। তাই আমাদের দরকার হয় পেপালের বেস্ট অল্টারনেটিভ খোঁজার।

আর এমনই একটি অল্টারনেটিভ হলো পাইওনির। আপনার কাছে যদি আইডি কার্ড ও একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকে তবে আপনি খুব সহজেই পাইওনির একাউন্ট খুলে, তার মধ্যে আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা নিতে পারবেন।

(৪) ফেসবুক থেকে আয়

ফেসবুক হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে একটি। পৃথিবী মানবের একটি বিশাল অংশ ফেসবুকের সাথে প্রতিনিয়ত যুক্ত হয়ে আছে।

প্রত্যেক সেকেন্ডে গড়ে প্রায় ৫টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে থাকে। প্রতিমাসে ২.৭৫ বিলিয়ন একটিভ ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে।

প্রতিদিন ১.৪৫ বিলিয়ন লােক তাদের ফেসবুক একাউন্টে লগিন করে। ফেসবুক সম্পর্কে আরাে বিস্তারিত তথ্য উইকিপিডিয়া হতে জানতে জানতে পারেন।

এতো বড় একটি ওপেন সোর্স মার্কেটপ্লস পেয়ে যাবেন আপনি ফেসবুকে। আপনি যদি এই সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে পারেন তবে খুব সহজেই আপনি এ থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।

আর এর জন্য দরকার সঠিক পথ প্রদর্শকের। তাই আজ আমরা ফিসবুক থেকে আয়ের কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করব।

ফেসবুক পেজ থেকে আয়

আপনি ইউটিউবে যেমন চ্যানেল খুলে তা থেকে আয় করতে পারেন। ঠিক তেমনি আপনি ফেসবুকে পেজ তৈরি করে, তার মধ্যে ভিডিও আপলোড করে আয় করতে পারবেন।

তবে এর জন্য আপনার পেজকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক এই শর্তগুলো সম্পর্কেঃ
  • সর্বপ্রথম আপনার কাছে একটি ফেসবুক পেজ থাকতে হবে
  • ফেসবুক পেজপর ফলোয়ার সংখ্যা ১০,০০০ বা এর বেশি হতে হবে।
  • পেজটির ভিডিওগুলােতে বিগত ৬০ দিনে কমপক্ষে (১ মিনিটের বেশি সময় ধরে দেখা ভিডিওতে) ৩০,০০০ ভিউ থাকতে হবে৷

ফেবুকের এই শর্তগুলাে পূরণ করার পর আপনার ফেসবুক পেইজের ভিডিও এড আসার উপযােগী হবে। তারপর আপনার ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন এর জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সবকিছু পর্যালোচনা করবে, সবকিছু ঠিক থাকলে তারা আপবার পেজটিতে এডস্ দেখানো শুরু করবে।

এভাবে আপনি ফেসবুক পোস্ট থেকে আয় করতে পারবেন। 

শেষ কথা

এই ছিল ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার উপায় সমূহ। এছাড়াও আরো কিছু পদ্ধতি আছে যার সাহায্যে আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।

তবে এইগুলোই হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ও উপযোগী মাধ্যম। আপনি এর যেকোনো একটি কিংবা একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজেই অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার মনে যদি এখনো কোনো প্রশ্ন থাকে তবে আপনি তা কমেন্ট সেকশনে জিজ্ঞেস করুন।

আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার উপকারে এসেছে। যদি এই কন্টেন্টটি আপনার উপযোগী মনে হয় তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে।


আর আপনি কোন পদ্ধতিতে ঘরে বসে আয় করবেন, তা আমাদের কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না।