ক্রিপ্টোকারেন্সি কি? কিভাবে Cryptocurrency কাজ করে?
যারা যারা অনলাইনে কাজ করে বা কাজ করতে চায় তাদের জন্য আজকের পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
কারণ আজ এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) কি, কিভাবে Cryptocurrency কাজ করে, এর সুবিধা অসুবিধা কি ইত্যাদি?
বর্তমানে অনলাইনে কেনা-কাটা অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেই সাথে বেড়েছে ভালো একটা পেমেন্ট সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা।
আমরা সাধারণত সরাসরি দোকানে গিয়ে যে কেনাকাটা করি এবং কেনার পর টাকা দেই, ঠিক তেমনি অনলাইনে কেনাকাটা করার পরও টাকা দিতে হয়।
এর জন্য আমরা বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করি। কিন্তু অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের একটা বড় অসুবিধা হলো আপনার টাকা আদান প্রদান ব্যাংক নির্ধারণ করবে।
এতে করে অনেক সময়ই আমাদের হয়রানির শিকার হতে হয়।
আর এই সমস্যার সমাধানের জন্য দরকার এমন এক ধরনের currency -র, যা সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক। এবং যার উপর কারো নিয়ন্ত্রণ নেই।
আর তা হলো Cryptocurrency!!!
Cryptocurrency হলো একধরনের ডিজিটাল কারেন্সি। আপনি এর সাহায্যে খুব সহজেই কেনাকাটা করতে পারবেন।
আপনি যদি জানতে চান Cryptocurrency কি, কিভাবে কাজ করে, এর সুবিধা অসুবিধা কি তবে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
তাহলে চলুন সর্বপ্রথম জানা যাক Cryptocurrency কি?
Cryptocurrency কি
ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) হলো একধরণের মুদ্রা তবে এটি physicl মুদ্রা নয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো একটি অনলাইন ভিত্তিক মুদ্রা, যার কারণে এটিকে digital currency-ও বলা হয়।
Cryptocurrency ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য কেনা যায়। এমন অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি Cryptocurrency ব্যবহার করে product বা services কিনতে পারবেন।
Cryptocurrency -তে দেশের ব্যাংক বা সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকে না। সরকার বা ব্যাংককে না জানিয়েই Cryptocurrency ব্যবহার করা যায়, যার কারণে অনেকে বিশ্বাস করেন যে Cryptocurrency -র অপব্যবহার করা যেতে পারে।
Cryptocurrency -তে Cryptography প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। Cryptography হলো এমন একধরনের প্রযুক্তি যেখানে সকল তথ্য কিছু কোডের ভিতর সংরক্ষণ করা হয়।
ফলে এর ভওতর থাকা সকল তথ্য safely তার গন্তব্য স্থলে পৌছে যায়। এবং এর ভিতর থাকা তথ্য শুধু সেই পড়তে ও process করতে পারে যাকে পাঠানো হয়েছে।
Cryptography -তে Crypto এর অর্থ হলো Hidden বা Vault এবং Graphy -র অর্থ হলো Writing.
Cryptocurrency হলো একধরনের peer-to-peer electronic system, যার ব্যবহার অনলাইনে পেমেন্ট করার জন্য এবং কোনো কিছু কেনাকাটা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
peer-to-peer trading এমন একধরনের trading যেখানে Cryptocurrency -র কেনা বেচা কোনো third party ছাড়াই ব্যবহারকারীদের মধ্যে সরাসরি করা সম্ভব।
Cryptocurrency গুলােকে আপনি আপনার digital asset হিসেবেও ধরতে পারবেন, যার সাহায্যে অনলাইন কেনা-কাটা / শপিং ইত্যাদি অনেক সহজে ও সুরক্ষিত ভাবে করা সম্ভব৷
Shopping করা ছাড়াও আপনারা এই Cryptocurrency গুলােকে বিভিন্ন services কেনার জন্যও ব্যবহার করতে পারবেন৷
Cryptocurrency জনপ্রিয়তা বাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো এতে peer-to-peet encryption ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে যেকেউ অনেক securely লেনদেন করতে পারবেন।
Cryptocurrency -র প্রকারভেদ
বর্তমানে অনেক ধরনের Cryptocurrency -র প্রচলন রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েছে আবার অনেকের কমেছে।
বর্তমানে প্রায় ৬০০০ Cryptocurrency রয়েছে।
এগুলির মধ্যে খুব কম Cryptocurrency রয়েছে যা খুব বিখ্যাত এবং এতে লোকেরা invest করতে চায়।
এখন আমি আপনাকে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ৫টি Cryptocurrency সম্পর্কে বলব।
১. Bitcoin
যখনই Cryptocurrency -র কথা বলা হয় তখনই লোকের মাথায় সর্বপ্রথম যে নামটি আসে তা হলো Bitcoin.
কারণ Bitcoin হলো সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত Cryptocurrency। Bitcoin -কে Satoshi Nakamoto ২০০৯ সালে আবিষ্কার করেন। Bitcoin -ক অনেকে BTC ও বলে থাকে।
বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে কেনা বেচা করার জন্য Bitcoin এর ব্যবহার করা হয়।
বর্তমানে প্রায় সকল জনপ্রিয় online store তাদের পেমেন্ট সিস্টেমে Bitcoin পেমেন্ট সাপোর্ট করে। ফলে আপনারা খুব সহজেই Bitcoin ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবেন।
Bitcoin হলো একধরনের Decentralised Cryptocurrency। Decentralised এর অর্থ হলো যেখানে কোনো একটা office বা authority না থেকে, অনেকগুলো authorities তা নিয়ন্ত্রণ করে।
২. Ethereum
Ethereum বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম Cryptocurrency এবং এটি বিটকয়েনের পরে চালু হয়েছিল।
Ethereum ETH নামেও পরিচিত। Ethereum কে Vitalik Buterin 30 জুলাই 2015 সালে আবিষ্কার করেছিলেন।
Ethereum হলো smart contract functionality ব্যবহার করে তৈরি একটি Decentralised open source blockchain Cryptocurrency। Ethereum সর্বাধিক ব্যবহৃত blockchain currency।
বর্তমানে ১ Ethereum এর মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার। যার ২০২০ সালেও মাত্র ২০ হাজার টাকা ছিল।
বর্তমানে এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে এর মূল্যও বেড়েছে।
৩. Litecoin
Litecoin হলো একটি peer-to-peer open-source software cryptocurrency যা license MIT/X11 এর অধীনে রিলিজ করা হয়েছে।
Litecoin কে LTH নামেও বলা হয়। Litecoin৷ এর আবিষ্কার করেছেন Charlie Lee।
Litecoin একধরনের early bitcoin spinoff বা altcoin হিসেবে রিলিজ করা হয়। Litecoin কে রিলিজ করা হয় ২০১১ সালে। Technical details এ Bitcoin অনেকটা Litecoin এর মতোই।
বর্তমানে ১ Litecoin এর মূল্য প্রায় ১০ হাজার টাকা।
৪. Tether
Tether একটি controversial cryptocurrency যা Tether limited দ্বারা tokens জারি করা হয় এবং Bitfinex এর মালিকরা তা নিয়ন্ত্রণ করে।
Tether কে USDT নামেও জানা যায়। এটি Brock Pierce, Craig Sellars এবং Reeve Collins মিলে আবিষ্কার করেছিলেন। যা বাস্তবে Realcoin নামে অধিক জনপ্রিয়। এটি জুলাই ২০১৪ সালে আবিষ্কার করা হয়েছিল।
বর্তমানে ১ Tether এর মূল্য প্রায় ৮৫ টাকা।
৫. Dogecoin
Dogecoin হলো একধরনের cryptocurrency যার আবিষ্কারক হলেন দুজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার Billy Markus এবং Jackson Palmer
Dogecoin একধরনের Decentralised peet-to-peer cryptocurrency, যা একটি দ্রুত এবং ফ্রি পেমেন্ট সিস্টেম।
Dogecoin এর লোগোতে সেই জনপ্রিয় Shiba Inu Dog এর চেহারা আঁকা হয়েছে।
Dogecoin জনপ্রিয়তা তখন অত্যাধিক বেড়ে যায় যায় যখন Tesla এর মালিক Elon Mask তার এক tweet এ Dogecoin সম্পর্কে বলেন।
তখন এর জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ে তার সাথে সাথে বাড়ে এর বাজার মূল্যও।
বর্তমানে ১ Dogecoin এর মূল্য প্রায় ১৬ টাকা।
বিশ্বের সেরা কিছু Cryptocurrency
এখন আমি আপনাকে বিশ্বের বিখ্যাত কিছু Cryptocurrency -র নাম বলব।
- Bitcoin (BTC)
- Ethereum (ETH)
- XRP (XRP)
- Stellar (XLM)
- Cardano (ADA)
- Dogecoin (DOGE)
- Polkadot (DOT)
- Neo (NEO)
- Celsius (CEL)
- Nano (NANO)
- Chainlink (LINK)
- Monero (XMR)
- Tether (USDT)
- Litecoin (LTC)
- Binance Coin (BNC)
- NEM (XEM)
- TRON (TRX)
- Dash (DASH)
- Zcash (ZEC)
- Bitcoin Gold (BTG)
- Bitcoin Cash (BCH)
- Bitcoin SV (BSV)
- EOS (EOS)
- VeChain (VET)
- Dai (DAI)
এই ছিল Cryptocurrency কি এবং জনপ্রিয় কিছু Cryptocurrency -র নাম। এখন চলুন জানা যাক Cryptocurrency কাজ কিভাবে করে।
Cryptocurrency কিভাবে কাজ করে?
Cryptocurrency -র কাজ হলো এক computer থেকে অন্য computer এ টাকা transfer করা। আর এই টাকা transfer করতে Blockchain technology ব্যবহার করা হয়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাংকের মতোই টাকা আদান প্রদানের কাজ করা হয়। তবে এতে ব্যাংক বা সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। লেনদেনের পুরো কাজটি Blockchain এ সুরক্ষিত রাখা হয়, যা fraud হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ কমিয়ে দেয়।
এই প্রযুক্তিটি খুব শক্তিশালী কম্পিউটারগুলির সহায়তায় কিছু লোকের দ্বারা করা হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে Cryptocurrency Mining বলা হয়।
যারা Cryptocurrency Mining করে তাদেরকে miners বলা হয়।
এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে miners কীভাবে Cryptocurrency Mining করে?
তাহলে জানা যাক কিভাবে miners Cryptocurrency Mining করে। Cryptocurrency Mining করার জন্য তাদের একটা code দেওয়া হয় যার সাহায্যে তারা Cryptocurrency Mine করে।
আর এই code তারা তখনই পায় যখন তাদের সামনে আসা math problem solve করে।
এই সমস্ত প্রক্রিয়াগুলির পরে Cryptocurrency Mining সম্পন্ন হয় এবং তারপরে Cryptocurrency আদান প্রদান করা যায়। যেখানে Cryptocurrency এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়।
বর্তমান সময়ে, Cryptocurrency আাদান প্রদান করার জন্য অনেকগুলি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যা আমরা নীচে জানিয়েছি।
Cryptocurrency আদান প্রদানের জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম
Cryptocurrency -তে invest কিংবা কিনতে বা বেচতে আপনি নিআের প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে একটি ব্যবহার করতে পারেন।
- WazirX
- Zebpay
- Unocoin
- Coin Switch
- CoinDCX
Cryptocurrency ব্যবহারের সুবিধা
Cryptocurrency ব্যবহার করার অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমনঃ
- Cryptocurrency ব্যবহারে fraud হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।
- Cryptocurrency -র ব্যবহার digital payment এর তুলনার অনেক বেশি secure হয়।
- যেমনটি আমরা আপনাকে উপরে বলেছি যে এতে CryptoCryptography প্রযুক্তি ব্যবহৃত করা হয়। যার কারণে এতে বিভিন্ন অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে আপনার অ্যাকাউন্টটি অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকে।
- খুব সহজেই শুধুমাত্র মোবাইল ৈফোনের সাহায্যেই international transaction সম্ভব হয়।
- এতে কোনো third party authority -র হস্তক্ষেপ ছাড়াই লেনদেন সম্ভব হয়।
- Cryptocurrency -তে transaction fee ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের তুলনায় অনেক কম।
Cryptocurrency ব্যবহারের অসুবিধা সমূহ
প্রত্যেক বস্তুরই যেমন কিছু সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। Cryptocurrency এর কোনো বিকল্প নয়। Cryptocurrency ব্যবহারেরও কিছু অসুবিধা রয়েছে, তা হলোঃ
- এতে যেহেতু সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই তাই Cryptocurrency ব্যবহার করে অনেক বেআইনি কাজ করা হয়।
- Cryptocurrency -তে একবার transaction হয়ে যাওয়া টাকা আবার ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
- যদি আপনি আপনার wallet ID হারিয়ে ফেলেন তবে তা আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না। এতে করে আপনি আপনার টাকা আর ফিরে পেতে পারবেন না।
- এটি যেহেতু একটি digital technology তাই এতে যত রকমই security ব্যবহার করা হোক না কেন, hack হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
- Cryptocurrency মূল্য প্রতিনিয়তই উঠা নামা করে। তাই এখানে invest করা অনেক বেশি riskey
Cryptocurrency নিয়ে প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-১ঃ Cryptocurrency কখন শুরু হয়েছিল?
উত্তরঃ Cryptocurrency শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে।
প্রশ্ন-২ঃ Cryptocurrency -র জনক কে?
উত্তরঃ Satoshi Nakamoto হলেন Cryptocurrency -র জনক।
প্রশ্ন-৩ঃ Cryptocurrency কি legal?
উত্তরঃ Cryptocurrency legal নাকি না তা বিভিন্ন দেশের আইনের উপর নির্ভর করে। এবং বিভিন্ন দেশে Cryptocurrency সম্পর্কে বিভিন্ন বিশ্বাস রয়েছে। তবে আমরা যদি আমাদের দেশের কথা বলি তবে এখানে Cryptocurrency অবৈধ নয়।
শেষ কথা
Cryptocurrency হলো Blockchain technology দ্বারা তৈরি একধরনের ডিজিটাল কারেন্সি। যার সাহায্যে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে কেনা বেচা করতে পারবেন।
Cryptocurrency কি, কিভাবে Cryptocurrency কাজ করে, এর ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে আমরা উপরে আলোচনা করেছি।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তবে এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
এবং যদি Cryptocurrency নিয়ে আপনার মনে কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করুন।